প্রচ্ছদ > জাতীয় >

আওয়ামী লীগের দোসর থেকে মুক্তি পাইনি বাংলাদেশ।মুক্তি পাইনি শিল্পকলা একাডেমি।

article-img

৫ ই আগস্ট রক্তসমুদ্রে গোটা দেশ ভাসিয়ে পতন ঘটল স্বৈরশাসকের। ছাত্র-জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ছাত্র আন্দোলনে চূর্ণ হলো দম্ভের অপশাসন।নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কে প্রধান  উপদেষ্টা করে অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন করা হয়। লক্ষ্য একটাই দেশ সংস্কার।

শিল্পকলা একাডেমির নতুন পরিষদ কমিটি গঠন হয়েছে।তবে এখনো বিতর্কিত কিছু ব্যাক্তি এখানে স্থান পেয়েছে ।

উপরে উল্লেখিত ১৬ নং  ব্যাক্তি জনাব র‍্যাচেল আ্যগানেস পেরিস,বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী, দীর্ঘ সময় ধরে একচেটিয়া ভাবে কাজ করে গেছে আওয়ামীলীগের হয়ে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিং ও নেতাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে তাকে দেখা গেছে এবং  তিনি তারিক এনামের ছেলের সাথে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করেছেন। 

১৭ নং ব্যাক্তি জনাব সামিনা লুৎফা নিত্রা বিশেষ্য ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সংগঠনে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন এবং ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন।

২৪ নং ব্যক্তি জনাব ইফতেখারুল আলম রাজ,বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিলেট বিভাগ, ইফতেখারুল আলম রাজ,আওমি ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করায়, রংপুর বিভাগের সাংস্কৃতিক জোট তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছি. আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজের সাথে জড়িত ছিল ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে তার ওঠাবসা ছিল,

২৫ নং ব্যক্তি জনাব কমল কান্তি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ময়মনসিংহ বিভাগ, তিনিও আওয়ামী লীগের দোসর ফ্যাসিবাদ অবৈধ সরকারের হয়ে কাজ করেছেন,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের  সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

শিল্পকলা একাডেমীতে নাটক করছেন এসব  বিতর্কিত লোক এবং দলগুলো। যেমন মামুনুর রশিদের আরন্যেক গত শনিবার শো করালো,গত ৩ দিন ধরে পালাকার গ্রুপ রিহার্সেল করছে মহরা কক্ষে। আরো বেশ কতগুলো গ্রুপ হল বরাদ্দ নিয়েছে যারা সবাই বিতর্কিত এদের মধ্যে চন্দন রেজাও আছে যিনি ছাত্রদের ফাঁসি দিতে বলেছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ২ বছর শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন  সাংবাদিক ও সংস্কৃতিজন প্রয়াত কামাল লোহানী। এরপর ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ বছর টানা মহাপরিচালক থেকে নজির তৈরি করেন লিয়াকত আলী লাকী। ১২ আগস্ট তাঁর পদত্যাগের পর ৯ সেপ্টেম্বর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ জামিল আহমেদ।

 অথচ ড. জামিল আওয়ামী সরকারের সময় মঞ্চ নাটকের নামে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাক্তি। বর্তমানে শিল্পকলায় তিনি একটি প্রকল্পের সাথে যুক্ত আছেন যার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছেন 'আলো আসবেই' গ্রুপের অন্যতম কালপ্রিট এবং অবৈধভাবে শিল্পকলার পরিচালক পদ দখলকারী তথাকথিত অভিনেত্রী জোতিকা জ্যোতি। আওয়ামী রেজিমের সুবিধাভোগকারী এবং আওয়ামী পাণ্ডাদের সুহৃদ ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ।

শিল্পকলা একাডেমিকে সংস্কার করতে হলে  আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।এবং এদেরকে শিল্পকলা একাডেমির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

 


আরো খবর